ঢেঁকি ছাটা লাল চাল

ঢেঁকি ছাটা লাল চাল 

 

খোসা ফেলে দেওয়ার পরও লাল চালের গায়ে একটি আবরণ থাকে। যা এর পুষ্টি উপাদানগুলোকে অক্ষত রাখে। আর এতে রয়েছে সাধারণ সাদা চালের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ খাদ্য আঁশ, খনিজ পুষ্টি এবং ভিটামিন। এই চাল বাজারজাতকরণের সময় তীব্র প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং মসৃণকরণের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় না। ফলে এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, লাল চাল বেশি স্বাস্থ্যকর, বেশি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এবং বেশি সুস্বাদু।

 

লাল চালে ভিটামিন বি১, বি৩, বি৬ ও ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস প্রভৃতি খনিজ পদার্থ বেশি মাত্রায় থাকে। শরীরের জন্য এগুলো খুব দরকারী। লাল চালে প্রচুর পরিমাণে থাকা ভিটামিন বি৬ শরীরের প্রয়োজনীয় লোহিত কণিকা ও সেরোটোনিন উৎপাদন করে। এতে বেশি পরিমাণে আয়রন থাকায় খেতে খুব সুস্বাদু হয়।

 

অর্ডারের পর আমরা খুব কম সময়ে ও দ্রুততার সাথে পন্য ডেলিভারি দিয়ে থাকি।

কাউনের চালের উপকারিতা

কাউন চাল দিয়ে শুধু পায়েশই নয়, বিরিয়ানি, ভুনা খিচুরি এমনকি সাদা ভাতও রান্না করা যায়। চাল বা গমের মত এই দানায় শর্করা নাই, যার জন্য স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ সহজেই কাউন চালকে বেছে নেন।

কাউনের চালের উপকারিতা

কাউনের চালে থাকা কিছু উপকারী উপাদান আমাদের রক্তে মিশে থাকা এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কাউনের চালে থাকা পটাশিয়াম আমাদের শরীরে লবনের ভারসাম্য বজায় রেখে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন রাখে। কাউনের চালে পর্যাপ্ত পরিমান আঁশ থাকায় কৌষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এতে প্রচুর ভিটামিন সি এবং নানা উপকারি খনিজ উপাদান রয়েছে যা দেহ গঠনে সাহায্য করে।

লাল চিড়ার উপকারিতা

আমরা সরাসরি কুষক থেকে ধান সংগ্রহ করে নিজেস্ব তত্বাবধানে উৎপাদন করি লাল চিড়া। লাল চিড়ায় আঁশের পরিমাণ অনেক কম থাকে যা ডায়রিয়া,আলসারেটিভ কোলাইটিস, অন্ত্রের প্রদাহ এবং রোগ প্রতিরোধে লাল চিড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক। পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকার জন্য কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে লাল চিড়া ব্যাপক উপকার করে থাকে। পেট ঠাণ্ডা করতে পানির অভাব পূরণে লাল চিড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। লাল চিড়া খাওয়ার উপকারিতা বলে শেষ করা যায় না। সকালে বা বিকেলের নাশতায় বিভিন্ন রেসিপি করে লাল চিড়া খাওয়া যায়। যেমন: দই চিড়া, আম চিড়া,কলা চিড়া এবং আরও বিভিন্ন উপায়ে লাল চিড়া খাওয়া যায়।